রূপসা - বাগেরহাট সেকশন
রূপসা ইস্ট (বি ক্লাস) - RUE
২.৮১
কর্ণ পুর (ডি ক্লাস) - KANP
৪.০২
সামন্ত...
more... সেনা (ডি ক্লাস) - SSNA
২.৮১
বাহির দিয়া (বি ক্লাস) - BHDA
৪.৪২
মূল ঘর (বি ক্লাস) - MUB
৪.৮৩
খান জাহানপুর (ডি ক্লাস) - KNJN
৪.৪২
যাত্রাপুর (বি ক্লাস) - JTPR
৪.০২
ষাট গম্বুজ রোড (ডি ক্লাস) - SZT
২.৮১
বাগেরহাট কলেজ (ডি ক্লাস) - BJHC
২.৮১
বাগেরহাট (বি ক্লাস) - BJHT
আজকে একটা জিলা নিয়ে আমার এই ছোট লিখা । জিলার নাম বাগেরহাট । আগে বাগেরহাট সাব-ডিভিশন ছিল । পরে নতুন জিলা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে । বেশ পুরনো শহর । স্কুল কলেজ গুলো ১০০ বছরের পুরনো । ব্রিটিশ আমলের অনেক স্থাপন আছে । পুরনো কীর্তি আছে । ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলী (রঃ) এর দরগাহ এই শহরেই । একটা মফস্বল শহরের সব উপাদান বিদ্যমান । সরু রাস্তা, কম গাড়ি, ইজি বাইক, রিকশা চলে এই শহরে । উন্নয়ন খুব কম চোখে পড়ে । শীতের সকালে লোকজন মর্নিং ওয়াক, চা পান, আড্ডা মারা, ইত্যাদি এক কথায় একটা মাদকতা আছে যা আমি গত ৪০ - ৫০ বছর ধরে দেখছি । একটা ছোট ছিমছাম শহর ।
এই শহরেই ছিল দেশের একমাত্র ন্যাড়ো গেজ ট্রেন । রূপসা ইস্ট স্টেশন থেকে বাগেরহাট আসতো । তথ্য মতে ৬ টা যুক্তরাজ্যের তৈরি ন্যারো গেজ লোকো ও কাঠের কোচের ট্রেন চলত এই সেকশনে । বর্তমানে এই ন্যারো গেজ লোকোর ৩ টা বিভিন্ন এলাকায় সংরক্ষিত আছে - পাকশি, সি আর বি, সৈয়দপুর) । ৩২.৯৫ কিলোমিটার এই সেকশনে ১০ টা স্টেশন ছিল (খুলনা রূপসা ঘাটের অপর পাড়ে রূপসা ইস্ট - কর্ণপুর - সামন্ত সেনা - বাহির দিয়া - মুলঘর - খানজাহান পুর - যাত্রাপুর - ষাট গম্বুজ রোড - বাগেরহাট কলেজ - বাগেরহাট ) । ৬ জোড়া ট্রেন এই সেকশনে চলত সারাদিনে । ৪ টা লোকাল, ২ টা এক্সপ্রেস (বনানী ও ষাট গম্বুজ) । আগে স্টিম ব্রড গেজ লোকো চলত । ১৯৮০ সালে ডিজেল লোকো দেওয়া হয় । ৭০** সিরিজ চলত এই সেকশনে । ৩ টা লোকো এই সেকশনে ছিল, ২ টা চলত, ১ টা রূপসা ইস্ট লোকো শেডে থাকতো । প্রথম দিকে হাঙ্গেরিয়ান লোকো এই সেকশনে ছিল । রূপসা ইস্ট স্টেশনে একটা ঘাট ছিল, পন্টুন ছিল রেলের সরঞ্জাম আনা নেওয়ার জন্যে । লুনা ভাই এই সেকশনে কাজ করেছেন ।
১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এই সেকশন ন্যারো গেজ ছিল, ১৯৬৯ সালে এই সেকশন ব্রড গেজ সেকশনে রুপান্তরিত হয় । বলে রাখা ভাল এই ৩২.৯৫ কিলোমিটার সেকশন টোটালি আলাদা সেকশন, কোন সেকশনের সাথে যোগ ছিল না । ৯০ দশকের শেষ দিকে এই সেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয় । ২০১১ সালের দিলে এই সেকশনে সকল ট্র্যাক, ষ্টেশন বিল্ডিং/প্লাটফরম নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয় । একমাত্র বাগেরহাট স্টেশনের প্লাটফর্ম ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না । বাগেরহাট স্টেশন থেকে বাগেরহাট কলেজ এর রেলপথ বর্তমান মেয়র দখল থেকে পুনরদ্ধার করে পরিস্কার পরিস্কার করেছেন, রাস্তা বানানোর জন্যে খোয়া দিয়ে সলিং করা হয়েছে, পরে পাকা করা হবে ।
সুখের বিষয় এই জিলায় আবার ট্রেন ঢুকবে । ফুলতলা - মোংলা রেলপথের কাটাখালির কোন এক জায়গা থেকে ভাগ হয়ে মুলঘর (ফকিরহাট) এর কোথাও এসে অরিজিনাল এলাইন্মেন্টের সাথে মিশে বাগেরহাটের দিকে যাবে । এবার দেখার বিষয় নতুন স্টেশন কথায় হবে । হয়তোবা বাগেরহাট কলেজের আসেপাশে কোথাও নতুন স্টেশন বৃহৎ আকারে হবে । পুরানো ষ্টেশনে ৩ টা লাইন ছিল । মেন লাইন প্লাটফর্মের সাথে, লোকো ঘুরানোর একটা লুপ লাইন যেটা রাস্তা পার হয়ে মিলত মেন লাইনের সাথে । আর কোনার দিকে ৩য় লাইন ছিল যেটা ব্যবহার করতে দেখি নাই ।
আশা করছি এই এলাকাবাসী আবার ট্রেনের খটাখট শব্দে জানবেন ট্রেন এসেছে তাদের প্রিয় শহরে !!!!!
------------ লেখক জনাব মোহম্মদ নাজমুল ইসলাম , নিবাস - ঢাকা , বাংলাদেশ
